এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট; তাৎকালীন জঙ্গিবাদী সরকার বিএনপি- জামাত জোটের প্রত্যক্ষ মদদে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে চকরিয়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ১৭ আগস্ট সকালে কক্সবাজার ১ আসনের সাংসদ আলহাজ জাফর আলমের নেতৃত্বে চকরিয়া থানার রাস্তার মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে চকরিয়া পৌর শহর প্রদিক্ষন করে। পরে থানা রাস্তার মোড়ে সিস্টেম চকরিয়া কমপ্লেক্স মাঠে আওয়ামী লীগের উদোগে সমবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন কক্সবাজার ১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, কক্সবাজারে জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক লায়ন কমরউদ্দিন আহমদ, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকছুদুল হক ছুট্ট, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সুরাজপুর মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, প্রচার সম্পাদক আবু মুছা, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো ওয়ালিদ মিল্টন, সহসভাপতি তপন কান্তি দাশ, চকরিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক নারী ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক চকরিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নুরে হোছাইন আরিফ, চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাউছার উদ্দিন কছির, সিনিয়র সহসভাপতি পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুল হক মুজিব, সাবেক প্যানেল মেয়র বশিরুল আইয়ুব, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম, চকরিয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল করিম, চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগ নেতা লায়ন আলমগীর চৌধুরী, সাবেক ছাত্র নেতা জাবেদ হোসেন পুতুল, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব হায়দার আলী, চকরিয়া উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, চকরিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আমির হোসেন আমু প্রমুখ। এছাড়াও বিক্ষোভ সমাবেশে চকরিয়া উপজেলা, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগ, উপজেলার আওতাধীন সকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সর্বস্থরের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি সাংসদ আলহাজ জাফর আলম বলেছেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে বিএনপি জামায়াত জোট একসঙ্গে বোমা হামলা চালিয়ে সেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে চেয়েছিল। কারণ বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন রাস্ট্রের মর্যাদা পেলেও বিএনপি জামায়াত সেটি কোনদিন মেনে নিতে পারেনি। তারই অংশ হিসেবে শোকের মাসে সারাদেশে বোমা হামলা চালিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি দেশে অপতৎপরতা তৈরী করে পেছনের দরজায় ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে যায়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেইদিন দেশ পরিচালনায় বিচক্ষণ নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপি জামায়াতের অপরাজনীতির বিষদাঁত ভেঙে দিয়েছেন। তিনি চকরিয়া পেকুয়া উপজেলার বিএনপি জামায়াতের উদ্দেশ্যে বলেন, অপরাজনীতি পরিহার করুন। কেউ বাড়াবাড়ি করলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাউকে ছাড় দিবেনা অতীতের মতো চকরিয়া পেকুয়া আসনের রাজনীতির মাঠ রাজপথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাহারা দেবে। মনে রাখবেন আওয়ামীলীগ একটি বড় সংগঠন। এখানে নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছু ভুলভ্রান্তি থাকবে, কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ।
সাংসদ আলহাজ জাফর আলম বলেন, বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করার মধ্যদিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন উন্নয়ন অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে যখনই উন্নতিশীল দেশের কাতারে মর্যাদার আসনে পৌঁছে দিচ্ছেন, তখনই বিএনপি জামাত জোট পেছনের দরজায় ক্ষমতায় আসতে নানাধরণের অপতৎপরতায় মেতে উঠেছে। তাই জাতির পিতার শাহাদাৎ বার্ষিকীর শোককে শক্তিতে পরিণত করে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী সবাইকে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে জোরদার করার জন্য সকল ভেদাভেদ ভুলে দলের জন্য কাজ করতে হবে। #
পাঠকের মতামত: